স্টাফ রিপোর্টার:

আগামীর বাংলাদেশে আর মধ্যরাতের ভোট হতে দেওয়া হবে না উল্লেখ করে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেছেন, পরবর্তী বাংলাদেশটা আমাদেরকে অবশ্যই জবাবদিহিতামূলক বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। যেই বাংলাদেশে ইউএনও আর ওসি দিয়ে নির্বাচন হবে না, যে বাংলাদেশে আর মধ্যরাতে নির্বাচন হবে না, আমি-ডামি নির্বাচন হবে না।

রোববার (২৫ মে) দুপুরে চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার চাতরী চৌমুহনী বাজার এলাকায় পথসভায় হাসনাত এসব কথা বলেন।

হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, আপনারা জানেন, আমরা দীর্ঘ লড়াইয়ের পরে আজকে এই বাংলাদেশে এসেছি। আমাদের লড়াইয়ের পেছনে শহীদদের রক্ত আর আহতদের আত্মত্যাগ—সেটার পর হচ্ছে বর্তমান বাংলাদেশ।

‘এই বাংলাদেশে কি আর কথা বলতে কোন ভয় লাগে? প্রশ্ন করতে কি কোন ভয় লাগে? আমরা কি এখন ক্ষমতাকে প্রশ্ন করতে পারি? আমরা কি এখন ক্ষমতাবান হয়েছি কিনা? আমাদের একসাথে পরবর্তী বাংলাদেশটা বিনির্মাণ করতে হবে।’

তিনি বলেন, পরবর্তী বাংলাদেশটা আমাদেরকে অবশ্যই জবাবদিহিতামূলক বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হবে। যেই বাংলাদেশে ইউএনও আর ওসি দিয়ে নির্বাচন হবে না, যে বাংলাদেশে আর মধ্যরাতে নির্বাচন হবে না, আমি-ডামি নির্বাচন হবে না, যে বাংলাদেশে ইসলাম যারা চর্চা করে তাদেরকে আর নির্যাতন করা হবে না। যে বাংলাদেশ হবে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বাংলাদেশ। এ বাংলাদেশে কেউ দুইবারের বেশি প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন না। যে বাংলাদেশে কেউ একচ্ছত্র ক্ষমতার অধিকারী হতে পারবে না। জনগণ থেকে রাষ্ট্রব্যবস্থায় আর কেউ বেশি ক্ষমতাবান হবে না।

চট্টগ্রামবাসির সহযোগিতা চেয়ে হাসনাত বলেন, প্রিয় চট্টলাবাসী, এই বাংলাদেশ বিনির্মাণে আমরা আপনাদের সহযোগিতা চাই। আমরা যদি কোন ভুল করি, আপনারা ওই ভুল সংশোধন করে দিবেন। আমরা আপনাদের সন্তানের মত। আমরা কথা দিতে চাই, এনসিপির নেতৃত্বে একটি বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়ে তুলবো—যে বাংলাদেশে জনগণই হবে ক্ষমতার উৎস।

সাংগঠনিক সফরে হাসনাত আবদুল্লাহ’র সঙ্গে আছেন, এনসিপির সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব ডা. তাসনিম জারা, যুগ্ম সদস্য সচিব মীর আরশাদুল হক, যুগ্ম মুখ্য সংগঠক ডা. মাহমুদা আলম মিতু ও মো. আতাউল্লাহ এবং সংগঠক আরমান হোসেন।

তারা দক্ষিণ চট্টগ্রামের মোট ৯টি স্থানে তাদের পথসভা করছে। এগুলো হলো- কর্ণফুলী উপজেলার মইজ্জ্যারটেক, আনোয়ারার চাতুরী চৌমুহনী, বাঁশখালী উপজেলা চত্বর, সাতকানিয়ার কেরাণীহাট, লোহাগাড়ার আমিরাবাদ, দোহাজারি পৌরসভা, চন্দনাইশ পৌরসভা, পটিয়া কলেজ গেইট এবং বোয়ালখালী উপজেলার ফুলতল।